জমির ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবীতে বিমাননগরীর প্রবেশপথে বিক্ষোভ , তুমুল উত্তেজনা

3rd February 2021 12:08 pm বর্ধমান
জমির ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবীতে বিমাননগরীর প্রবেশপথে বিক্ষোভ , তুমুল উত্তেজনা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : জমি আন্দোলনে উত্তপ্ত দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমান নগরী এলাকা। ক্ষতিপূরণ না পেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিমান নগরীর মূল প্রবেশদ্বারের সামনে ধর্নায় বসে পড়লো ক্ষতিগ্রস্থরা।জমির বদলে জমি দেওয়ার প্যাকেজ ছিল, ছিল আলাদা ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ। আর এই শর্তে দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমাননগরি তৈরীর জন্য জমি দিয়েছিল বেশ কয়েক হাজার জমিদাতা।জমি অধিগ্রহনের পর ২০০৮=০৯সালে অন্ডাল বিমাননগরীর তৈরীর কাজ শুরু হয় l২০১১সালে প্রথম উড়ান ওরে অন্ডালে। কিন্তু জলের দরে জমি নেওয়ার পরও বেঙ্গল এরোট্রপলিস কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ বারো বছর ধরে এরপর ক্ষতিগ্রস্ত জমিদাতারা ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন। কিন্তু মেলেনি কোনো সদুত্তর। প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে এগারোটা মৌজার কৃষকরা জমি দিয়েছিলেন। গত বছর রানীগঞ্জ এ এসে জমিদাতাদের ক্ষোভ সামলাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্থ জমিদাতাদের জমির মালিকানার রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন, মঞ্চে পাঁচ কৃষকের হাতে এই সরকারী কাগজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলেও দেন,অভিযোগ সেই সরকারী কাগজ নিয়ে কোনো কাজই হচ্ছেনা, স্রেফ কাগজই এটা আর তাই ভূমি দফতরের আধিকারিকরা এই কাগজে কাজ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এরই প্রতিবাদে রাজ্য  সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে অন্ডাল বিমান নগরীর মূল প্রবেশদ্বারে ধর্নায় বসে পড়লো ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা, কেন এই প্রতারণা এই প্রশ্ন তুলে বিমান বন্দর যাওয়ার রাস্তায় বসে পরে বিক্ষোভ শুরু করে দেয় ক্ষতিগ্রস্তরা। বুধবার সকালে পরিবার পরিজন দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের এই আন্দোলনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে গোটা বিমান বন্দর চত্বরে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার তাদের সদুত্তর না দিচ্ছে ততক্ষন এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারিরা। জমি আন্দোলনের এই প্রতিবাদ কর্মসূচীর জেরে অন্ডাল বিমাননগরী এলাকায় রয়েছে প্রচুর পুলিশ মোতায়ন।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।